পানিসহ মাছ উধাও পুকুর থেকে
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় পুকুরের তলদেশে সুড়ঙ্গ সৃষ্টি হয়ে সব পানি ও মাছ উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেই মাছ ও পানি কোথায় গেছে, কেউ বলতে পারছে না। পুকুরের
নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৪ জুলাই বিকেলে হঠাৎ পুকুরের মাঝ বরাবরের পানিতে বুদবুদ উঠতে দেখেন। প্রচণ্ড গরমের কারণে হয়তো এমনটি হচ্ছে ভেবেছিলেন তিনি। শুক্রবার থেকে সেই বুদবুদ বাড়তে শুরু করে। সোমবার বিকেলে হঠাৎ পুকুরের পানি ৪ থেকে ৫ ফুট উঁচু হয়ে লাফিয়ে উঠতে শুরু করে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্কও দেখা দেয়। পানির এই লাফালাফি দেখতে এলাকার মানুষ ভিড়ও জমাতে শুরু করে দেয়। সন্ধ্যার পর সেই অবস্থা কিছুটা কমে যায়। এরপর পুকুরের পানি পরের দিন বিকেলে হঠাৎ করেই কমতে শুরু করে। পুকুরের মাঝখানে পানি ঘুরপাক খেতে খেতে পানি নামতে শুরু করে। নিমেষের মধ্যেই গলাসমান পানি উধাও হয়ে যায়।
বুধবার (২০ জুলাই) বিকেলে কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের বাগইল পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ ও শিশুরা দল বেঁধে দেখতে এসেছেন পুকুরটি। অনেকে কাদা মাড়িয়ে নিচে নেমে উঁকি দিয়ে দেখছেন সুড়ঙ্গের গভীরতা। পুকুরের মালিক নূরুল ইসলাম পাশেই ছিলেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পুকুরে মাছ চাষ করছেন। এবারও ২০০ কেজি মাছ ছেড়েছিলেন।
পানি তো নেই-ই, এমনকি কোনো মাছের ছিটেফোঁটাও ছিল না ওপরে। পানি নেমে যাওয়ার পর তারা দেখতে পান পুকুরের মাঝ বরাবরে একটি বিশাল গর্ত। পরে নেমে গিয়ে দেখেছেন প্রায় ৫ থেকে ৮ ফুট গভীর সেই গর্ত। এতে তার প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ শেষ হয়ে গেছে বলে জানান পুকুরের মালিক নূরুল।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ও পাইকড় ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ জানান, প্রায় ২০ বছর আগে ওই পুকুর থেকে বালু তুলে বাড়ি করেছেন নূরুল ইসলাম। এ কারণে সেখানে ধস দেখা দিয়ে এটি হয়েছে।
তবে নূরুল ইসলাম জানান, বালু উত্তোলনের পর কয়েক দফা পুকুরটি তারা খনন করেছেন। তখন সেখানে এমন কোনো লক্ষণই ছিল না।
এ বিষয়ে পুকুরের মালিক নুরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে হঠাৎ করেই পুকুরের ঠিক মাঝখানে বুদবুদ উঠতে থাকে। তিনি ভেবেছিলেন তীব্র দাবদাহের ফলে এমনটা ঘটছে। ক্রমাগত বাড়তে বাড়তে সোমবার বিকেলে হঠাৎ করেই পানি ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু হয়ে লাফিয়ে উ ঠে।
কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পাপিয়া সুলতানা বলেন, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
No comments