কামরাঙ্গীরচরে নিন্মবিত্ত পরিবারের অর্থনৈতিক খরা কাটছে না
নিলয়, কামরাঙ্গীরচর প্রতিনিধি: বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সংগ্রাম করছে দেশের নিন্মবিত্তে পরিবার গুলো। দীর্ঘ হচ্ছে অভাব অনটন আর টিকে থাকার সংগ্রামের দিন। কামরাঙ্গীর চরে অধিকাংশ মানুষ খেটে খাওয়া শ্রমজীবী।শ্রম বিক্রি করে প্রতিদিনকার খাবার যোগাড় করতে হয় এখানকার মানুষদের। একদিন কাজ নেই তো ঘরে খাবার নেই। প্রতিদিন দুশ্চিন্তা নিয়ে ঘুমাতে যায় ঘরের একমাত্র উপার্জন ক্ষম ব্যাক্তি। এ রকম একজন কামরাঙ্গীরচরের ৮ নং গলির বাসিন্দা মুরসালিন। যিনি পেশায় রিকশাচালক। মহাজনের কিস্তির টাকা না দিতে পারায় এখন রিকশাও আটকে রেখেছে ফলে আয়ের এক মাত্র উৎস হারিয়ে তিনি দিকবিদিকশুন্য হয়ে হতাশ। সকালে আজিমপুর বাস স্ট্যান্ড গিয়ে দাঁড়ায় কাজের জন্য। কাজ পেলে ছেলে মেয়ে সহ স্ত্রীর ভাগ্যে খাবার জোটে। অন্যথায় অনাহারে দিন কাটে।
অন্য আরেকজন মেকানিক দোকানদার পারভেজ। কোভিডের জন্য ভাড়া না দিতে পারায় দোকান ছেড়ে দিতে হয়েছিলো। এখন পেশা বদল করে হয়েছেন শ্রমিক। উনার গল্প আর ও করুন। অভাব অনটন সহ্য করতে না পেরে ঘরের বউ চলে যায়। দুই সন্তান নিয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন পারভেজ। চরের নিন্মবিত্ত মানুষদের এমনি সব করুণ গল্প যা হার মানায় শরৎ চট্টোপাধ্যায়ের মহেষ কিংবা অভাগীর স্বর্গ গল্পকেও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে ২০২৩ সালের আসন্ন দুর্ভিক্ষের কথা শুনে এরা আর ও বেশী হতাশ। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের দানা সারা বিশ্বের উপর পড়েছে। বাংলাদেশ ও এর বাহিরে নেই চরম বিপাকে রয়েছে দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষজন। টিকে থাকার লড়াইয়ে শ্রমজীবী মানুষরা হাসি মুখে বললেন আমরা চাই দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক। দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটুক। ছেলে মেয়ে নিয়ে যেনো দুই বেলা ভাত খাওয়ার নিশ্চয়তা পাই এ কামনা করি।
No comments