তাড়াশ দারুল উলুম মহিউস সুন্নাহ ক্বওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার মাসিক কেরাত ও গজল প্রতিযোগিতা
তাড়াশ দারুল উলুম মহিউস সুন্নাহ ক্বওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার মাসিক কেরাত ও গজল প্রতিযোগিতা
আবু মাসুম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ তাড়াশ দারুল উলুম মহিউস সুন্নাহ ক্বওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার মাসিক কেরাত ও গজল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইকবাল হাসান রুবেল সভাপতি তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগ এবং সাধারন সম্পাদক মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি এবং আরো উপস্থিত ছিলেন উক্ত মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য বৃন্দ।আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক । তাড়াশ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা সহ বিভিন্ন পেশা জীবীর মানুষ। উক্ত অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন জনাব মোঃ হাফেজ আফজাল হোসেন নাটোরি, পেশ ইমাম তাড়াশ মহুরি অফিস মসজিদ এবং হাফেজ উক্ত মাদ্রাসা এবং উক্ত মাদ্রাসার । এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ক্বারি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম এবং উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ লুৎফর রহমান তাড়াশী সাহেব মুহতামিম উক্ত মাদ্রাসা এবং ইমাম তাড়াশ থানাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।
উক্ত অনুষ্ঠানের তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং মসজিদের ইমাম এবং মুুহতামিম তারা বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন । ৮ জন বিশিষ্ট বিচারকের একটা কমিটি গঠন করা হয় । এবং সঠিক এবং শুদ্ধভাবে তেলওয়াত করেছে তাদের কে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হিসেবে নির্বাচন করেন বিচারকরা। উক্ত অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সানোয়ার হোসেন উপধক্ষ্য দবিলা ইসলামপুর দাখিল মাদ্রাসা। মাওলানা আব্দুল ওহাব ইমাম তাড়াশ উপজেলা পরিষদ মসজিদ । মুফতি আব্দুল রহিম আসনবাড়ী জামে মসজিদ। মুফতি সানাউল্লাহ তাড়াশ মহিলা মাদ্রাসা। হাফেজ মাও ইউনুস আলী ইমাম তেতুলিয়া জামে মসজিদ । মাও সোহাগ ইসলামপুর জামে মসজিদ
হাফেজ আবুল কালাম খতিব দিঘি সগুনা জামে মসজিদ সহ আরো অনেকেই মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন এবং তারা জানায় আমাদের তাড়াশ উপজেলার অনেক হাফেজিয়া মাদ্রাসা আছে কিন্তু এমন ভাবে কোন মাদ্রাসায় মাসিক কোন আয়োজনের ব্যবস্থা হয়না এই তাড়াশ দারুল উলুম মহিউস সুন্নাহ ক্বওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা তাড়াশের মধ্যে অনেক পুরতন এবং সুনাম ধন্য একটি মাদ্রাসা। এভাবে যদি প্রতি মাসে এমন ভাবে ইসলামিক কুইজ বা ইসলামিক কোন বিষয় এর ওপর প্রতিযোগিতা করা হয় তাহলে ছেলেরা অনেক উৎসাহিত হবে এবং তাদের মধ্যে যদি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে এবং তাদের মধ্যে যে জরতা রয়েছে সেটাও কেটে যাবে যার ফলে আমাদের তাড়াশ দারুল উলুম মহিউস সুন্নাহ ক্বওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আগামীতে দেশের ভালো ভালো ইসলামিক অনুষ্টানে অংশগ্রহন করবে এইটা আমরা আশাবাদী ।
উক্ত মাদ্রাসার অনুষ্ঠানে ৫ টি বিষয়ের ওপর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত বিষয় গুলি ছিল
১। কেরাত।
২ গজল।
৩ হাদিস।
৪। দোয়া।
৫। নামাজের ভিতরে এবং বাহিরের কয় ফরজ
এই কয়েকটি বিষয় এর ওপর প্রতিযোগিতা হওয়ার পরে বিচারকরা যোগ্য এবং শুদ্ধ তেলওয়াত কারি দের বাছাই করেন বিচারকরা। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় পর্ব পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে যারা পুরস্কার পান তারা হলেন । কেরাতে অংশগ্রহন কারীদের মধ্যে প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করে অত্র মাদ্রাসার হেফজো বিভাগের ছাত্র মোঃ বাদশা আলম। এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন পুরষ্কার গ্রহন করেন অত্র মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র মোঃ মেরাজুল ইসলাম সোহেল এবং তৃতীয় স্থান হিসেবে পুরষ্কার পান অত্র প্রতিষ্ঠানের হেফজো বিভাগের ছাত্র মোঃ আলী আলম।
গজলে অংশগ্রহন কারীদের মধ্যে গজলে প্রথম স্থান অর্জন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের মোঃ হুজাইফা। এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের হেফজো বিভাগের ছাত্র মোঃ সালমান ফারসী এবং তৃতীয় স্থান হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করেন হেফজো বিভাগের ছাত্র মোঃ মিদুল হাসান । হাদিস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন কারীদের মধে প্রথম স্থান অধিকার করেন। মক্তব বিভাগের ছাত্র মোঃ আমানুল্লাহ। এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে অত্র প্রতিষ্ঠানের মক্তব বিভাগের ছাত্র হামজালা। এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের মক্তব বিভাগের ছাত্র মোঃ হুসাইন।
দোয়া প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের মক্তব বিভাগের ছাত্র হাবিবুর। এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের মক্তব বিভাগের ছাত্র রেজওয়ান আহম্মেদ এবং তৃতীয় স্থানে নিজের জায়গা করে নেয় অত্র প্রতিষ্ঠানের মক্তব বিভাগের ছাত্র মোঃ ইসরাফিল।
এবং শেষ প্রতিযোগিতা হয় নামাজের ভিতরে এবং বাহিরে কত ফরজ এই বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের হেফজো বিভাগের ছাত্র এনায়েতুল্লাহ রনি এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের কিতাব বিভাগের ছাত্র মোঃ নাইমুর হাসান। এবং উক্ত প্রতিযোগিতার তৃতীয় স্থান অধিকার করেন হেফজো বিভাগের ছাত্র মোঃ সিয়াম হোসেন।
এই বিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক ইকবাল হাসান রুবেল এর সাথে কথা বললে তিনি জানায় আমাদের মাদ্রাসাটা তাড়াশের মধ্যে পুরাতন একটা ক্বওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা আমাদের এই মাদ্রাসাটা প্রতিষ্ঠাকালীন সময় আমার আব্বা সহ তাড়াশের অনেক লোকজনের সহযোগিতায় এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। আজ হয়ত তাদের মধ্যে অনেকই এই পৃথিবীতে নেই কিন্তু আমাদের এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান টা এখনও আছে। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের মাদ্রাসাটা তাড়াশ উপজেলার সবচেয়ে সুনাম ধন্য মাদ্রাসা তৈরি করার জন্য। আমাদের এই মাদ্রাসা ইতি মধ্যেই ৪তালা একটি ভবনের কাজ শুরু হয়েছে ইনশাআল্লাহ আরো উন্নত হবে। আর এই মাদ্রাসায় যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এটা আমরা আগামীতেও চালু রাখব কেনবা এটার জন্য ছেলেদের মধ্যে পড়াশোনায় আরো বেশি মনোযোগ হবে তারা উৎসাহিত হবে আর যার ফলে আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাই আগামীতে বাংলাদেশ এবং তার বাহিরে যেগুলো প্রতিযোগীতা হয় তারা সেখানে অংশ গ্রহণ করবে এবং তারা সেখান থেকে ভালো সুনাম অর্জন করবে বলে তিনি জানায় ।
No comments