এই ওয়েবসাইটটি বিক্রয় করা হবে। ফুল সেটআপ সহ নিতে বা বিস্তারিত জানতে কল করুন : ০১৭২৬৭৮২৫১২ 🚀 বসত বাড়ির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে গুরতর আহত - Sokalerkotha

Breaking News

বসত বাড়ির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে গুরতর আহত


নায়েক, মাদারীপুর থেকে : বাংলাদেশে ৬০ শতাংশের বেশিই জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা। পাওয়া যায় গুরুতরভাবে আহত ও নিহতের খবর।অনেক সময়ই দেখা যায়, জমির মালিকের মৃত্যুর পর, তার ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির বণ্টন যথাযথ বা দাবি মত না হলে, কিংবা আইনসিদ্ধ না হলে বিরোধের সূত্রপাত ঘটে।পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মারামারি, দখল, হত্যা, অপহরণ কিংবা ধর্ষণের মত গুরুতর ফৌজদারি অপরাধও ঘটে।

ঠিক তেমনি, গত ১৮ তারিখ শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুর জেলার, কালিকাপুর ইউনিয়নের, দক্ষিণ দুধখালী এলাকায় বসত বাড়ির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে গুরতর আহতের খবর পাওয়া যায়। আহতদের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক স্বজনেরা বিলম্ব না করে ভর্তি করেন স্থানীয় হাসপাতালে সেখানকার চিকিৎসকরা অবস্থার অবনতি বুঝতে পেরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।ভুক্তভোগী সিরাজুল হাওলাদারের আপন ছোট ভাই সোনা মিয়ার হাতে তার স্ত্রী,বাচ্চা ও আত্মীয়কে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ভয়াবহতার এই খবর পাওয়া যায়।

ভুক্তভোগী সিরাজুল হাওলাদার জানান তার ছোট ভাই সোনা মিয়া তাদের বসত বাড়ির সামান্য কিছু অংশীদারিত্ব পাবে তার কাছে। তার সাথে তা নিয়ে বিরোধ চলায় তারা  স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয়দের নিয়ে আলোচনা সভার মাধ্যমে  সিদ্ধান্ত নেয় বিকল্প সুবিধার যা হলো: ভুক্তভোগী সিরাজুল হাওলাদার তার ছোট ভাই সোনা মিয়াকে ৭ লক্ষ টাকা দিবে বসত বাড়ির অংশীদারিত্বের বদলে।তার ছোট ভাই সোনা মিয়া সে সিদ্ধান্তে রাজী হয় এবং তাকে ৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় এবং বাকি ৩ লক্ষ টাকা পরে পরিশোধ করা হবে বলে জানান ভুক্তভোগী সিরাজুল হাওলাদার।সব কিছু ঠিক থাকলেও হঠাৎ পরিস্থিতি পাল্টে যায়। 

শুক্রবার বড় ভাই সিরাজুল হাওলাদার নামাজ আদায় করতে মসজিদে গেলে তার অনুপস্থিতিতে ছোট ভাই সোনা মিয়া দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বড় ভাই সিরাজুল হাওলাদার এর স্ত্রী রিমা (২৫), ও ৯ মাসের শিশু ছেলে  সাজিদ এবং তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ভাগ্নি কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।স্ত্রী রিমা ও ৯ মাসের শিশু ছেলে  সাজিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাদের প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জন্য বলেন এবং ভুক্তভোগীরা বিলম্ব না করে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য  ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় । এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত স্থানীয় থানায় কোনো মামলা দায়ের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু ভুক্তভোগীরা যে আইনের আশ্রয় নিবেন না ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য!  তা এখন শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা।

No comments