মুসলিম হিসাবে যা পরিহার করা অবশ্যই কর্তব্য
মুসলিম হিসাবে যা পরিহার করা অবশ্যই কর্তব্যঃ
আমরা মুসলিম আমাদের জীবন পরিচালনা করতে হবে কুসংস্কার মুক্ত। কিন্তু না বর্তমান বিশ্বে আমরাই সবচয়ে বেশি কুসংস্কারে ডুবে আছি। এ থেকে বাঁচতে হলে দা'য়ী ইলাল্লাহর পথ আমাদের অনুসরণ করতে হবে। নিন্মে কিছু কুসংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হলোঃ
১) গাশি পালন ও বৃষ্টির জন্য ম্যাঘারাণী অনুষ্ঠানের নামে বাড়ী-বাড়ী থেকে চাল তুলে ভোজের আয়োজন করা।
২) চালুন, কুলা, ঝাড়ু ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু তৈরী করাকে খারাপ মনে করা।
৩) কোন নতুন ফসল বপণ করাকে আইরিস বা কূ-লক্ষণ মনে করা। * কুরবানীর গুরুর দাঁত, মাথা, চোয়াল কিংবা যে কোন হাড় জ্বিন-শাইতন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরের ছাদে কিংবা বাঁশঝাড়ে টাঙিয়ে রাখা।
৪) যাত্রার শুরুতে হোঁচট খেলে কিংবা হাঁচি এলে অশুভ মনে করে যাত্রা বিরত রাখা।
৫) মানুষের কূ-নজর থেকে রক্ষার জন্য ধানক্ষেত, লাও বা কদু গাছের মাচায় কালো হাড়ি-পাতিল ঝুলিয়ে রাখা। তেমনিভাবে নতুন বন্ডিং-এ ঝাড়ু, কলস এবং নতুন ঘরের চালে পাখি বা অন্য যে কোন প্রাণির প্রতিকৃতী তৈরী করে আটকে রাখা ।
৬) হাত থেকে কোন বস্তু পড়ে গেলে অথবা বিড়াল পা চাটলে মেহমান আসবে বলে মনে করা। সেইসাথে ডান হাতের তালু চুলকানো কিংবা ডান হাতের নখে সাদা ফুটি দাগ হওয়াকে অর্থ আসার লক্ষণ মনে করা; কিংবা বাম হাতের তালু চুলকানো অথবা বাম হাতের নখে সাদা ফুটি দাগকে ঋণগ্রস্ত হওয়ার পূর্ব লক্ষণ বলে মনে করা।
৭) আতুর ঘর বা নবজাত সন্তানের ঘরে জাল, বড়ই কাঁটা, লতাপাতা ইত্যাদি রেখে মনে করা যে, ঘরে শাইতন প্রবেশ করতে পারে না এবং সন্তান শিক্ষিত হওয়ার জন্য তার বালিশের নীচে খাতা, কলম, কালী ইত্যাদি রাখা।
৮) গাভী বা ছাগলের বাচ্চা হলে কূ-নজর থেকে বাঁচার জন্য নেকড়া, গীড়াওয়ালা দড়ি, সুতায় আঁটকানো কড়ি ইত্যাদি গলায় বেঁধে দেয়া।
৯) বিবাহ-শাদী কিংবা অন্যান্য অনুষ্ঠানে বিধর্মী হিন্দুদের মতো রং ছিটানো বা হলী খেলা।
১০) আল্লাহই করতে পারেন এ কথা না বলে আল্লাহ করতে পারেন বলা।
আল্লাহ তায়ালা আমদের সঠিক ইসলামী জিন্দেগী দান করুন। (আমিন)
#এস এম রবিউল ইসলাম রবি
অধ্যয়নরত ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
টংগী সরকারি কলেজ, গাজীপুর
No comments