নাটকীয় জয়ের নায়ক যখন সাকিব আল হাসান

মুজাহিদুল আকরাম, খেলা ডেস্ক: শ্বাসরুদ্ধকর নাটকীয় ম্যাচে অবশেষে জয়ের দেখা পেলো টিম টাইগার্স। ক্রিকেট পাড়ায় নতুন ঘটনার উদ্ভব ঘটিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে একাধিক জয় তুলে নিলো সাকিব বাহিনী।

আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ। উড়তে থাকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়টা মোটেও সহজ ছিলো নাহ শান্ত তাসকিনদের। ক্রিকেট পাড়ায় আগে থেকেই বলাবলি হচ্ছিলো আজকের ম্যাচের ফেবারিট দল জিম্বাবুয়ে। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কিছুটা আন্ডারডগ হয়েই দারুণ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। 

প্রথমে ব্যাট করে শান্তর ফিফটিতে ২০ ওভার শেষে ১৫০ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১(৫৫) রানের ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭ বাউন্ডারি এবং ১ ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিলো শান্তর ইনিংস। দলের টার্গেট যখন লো স্কোরিং হতে যাচ্ছিলো তখনই আবারও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন আফিফ হোসেন। তার ১৯ বলের ২৯ রানের ইনিংসটি দলের স্কোর দেড়শো ছোঁয়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

ব্যাট হাতে ফাইট করার মতো সংগ্রহ দাড় করানোর পর বল হাতেও বাংলাদেশের বোলাররা ছিলেন দারুণ। তাসকিন মুস্তাফিজের বোলিং তোপে ৩৫ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বসেছিলো জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়ে গোলেন জিম্বাবুয়ের পরীক্ষিত ব্যাটার সেন উইলিয়ামস। তুলে নিয়েছিলেন নিজের অর্ধশতক ও। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা সেন উইলিয়ামস এর উইকেটটি ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ধরা হচ্ছে। সাকিব আল হাসানের ঝাঁপিয়ে পড়ে দেওয়া থ্রো টি জয়ের বন্দরে পৌছে দিয়েছে বাংলাদেশকে। ৪২ বলে ৬২ রানে ব্যাট করতে থাকা সেন উইলিয়ামস কে তখন না ফেরানো গেলে হয়তোবা ফলাফল ভিন্ন ও আসতে পারতো।

তবে ম্যাচের নাটক শেষ হয়নি তখনো। নাটকীয় এক ঘটনার জন্ম হয়েছিলো ম্যাচের শেষ বলে। শেষ বলে জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিলো ৫ রান। বল হাতে ছিলেন মোসাদ্দেক এবং ব্যাট হাতে ছিলেন মুজারাবানি। অনেকটা এগিয়ে এসে হিট করতে চাওয়া মুজারাবানি মিস করে ফেলেন বলটি। দেশের সেরা উইকেটরক্ষক সোহান বলটি ধরে উইকেট ভাংতে একদমই ভুল করেননি। অনেকটা এগিয়ে আসায় ধরেই নেওয়া হয়েছিলো এটা আউট। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা জয়ের উদযাপন শুরু করেন। প্রায় সবাই ড্রেসিং রুমে চলে গিয়েছিলেন। এমন সময় থার্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেন বলটি ছিলো নো বল। অর্থাৎ উইকেটকিপার সোহান বলটি উইকেটের কিছুটা আগে থেকে ধরেছিলেন। যার কারনে বলটি নিয়মানুযায়ী নো বল হয়।

নো বল হওয়ায় শেষ বলে জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিলো ৪ রান। তবে এবার ভুল করেননি মোসাদ্দেক কিংবা সোহান। বলটি ডট বল হয় এবং বাংলাদেশ ৩ রানে জয়ী হয়। ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিন উইকেটশিকারী তাসকিন আহমেদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url