তাড়াশে ঐতিহ্যবাহী দই মেলা অনুষ্ঠিত
আবু মাসুম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
বৃহস্পতিবার (২৬ ই জানুয়ারি) সকাল থেকেই মেলায় হরেক রকমের বাহারি দই আসতে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে তাড়াশ জমিদারবাড়ির সামনে রসিক রায় মন্দিরসংলগ্ন পৌর বাজার ঈদগাহ মাঠে এই মেলা একইসঙ্গে দোকানিরা দইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেন।
স্থানীয় তাড়াশ, শেরপুর, রায়গঞ্জ, পাবনা, বগুড়া সহ বিভিন্ন এলাকার হরেক রকমের দই মেলায় স্থান পায়। পাশাপাশি মেলায় খই, চিড়া, মুড়ি, মুড়কি, বাতাসা, কদমা, মিষ্টিসহ বিভিন্ন মিষ্টান্নও বেচাকেনা হয়।
স্থানীয় একাধিক ঘোষের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুধের দাম, জ্বালানী, শ্রমিক খরচ, দই পাত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দইয়ের দামও বেড়েছে। তবে মেলা এক দিনব্যাপী হলেও চাহিদা থাকার কারণে কোন ঘোষের দই অবিক্রিত থাকে না। যার কারণে মেলার আগেই ঘোষেরা দই তৈরিতে মহাব্যস্ত হয়ে পড়েন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রজত ঘোষ বলেন, তাড়াশের জমিদারী আমলে তৎকালীন জমিদার বনোয়ারী লাল রায় বাহাদুর প্রথম দই মেলার প্রচলন করেছিলেন। কথিত আছে সবচেয়ে ভাল সুস্বাদু দই তৈরি কারক ঘোষকে জমিদারের পক্ষ থেকে উপঢৌকন প্রদান করা রেওয়াজ ছিল। তবে জমিদার আমল থেকে শুরু হওয়া দইয়ের মেলা এখনও মাঘ মাসের শ্রী পঞ্চমী তিথিতে উৎসব আমেজে বসার বাৎসরিক রেওয়াজ এখনও আছে এবং তা ৩ দিনে স্থানে ১ দিন ব্যাপী হয়ে থাকে। আর সে থেকে প্রতি বছর শীত মৌসুমের মাঘ মাসে স্বরসতী পূঁজার দিন শ্রী পঞ্চমী তিথিতে দই মেলার শুরু হয়। দইয়ের মেলায় আসা এ অঞ্চলের দইয়ের স্বাদের কারণে নামেরও ভিন্নতা রয়েছে। তাড়াশের লোকজনদের কাছে এই বিষয় এ বললে তারা জানায় আমাদের এই তাড়াশের দই মেলাটি বিখ্যাত বলতে পারেন এটা অনেক বছর আগে থেকেই মেলাটি অনুষ্ঠিত হয় আচ্ছে তাড়াশ এবং তাড়াশের আশে পাশের অনেক জনই সারা বছর এই দিন টার জন্য অপেক্ষা করে থাকে বলে জানায়।