দীর্ঘ ১১ বছর পর হোমনায় চাঞ্চল্যকর আশিক হত্যা মামলার রায় ঘোষণা - Sokalerkotha -->

Breaking News

দীর্ঘ ১১ বছর পর হোমনায় চাঞ্চল্যকর আশিক হত্যা মামলার রায় ঘোষণা

মইনুল ইসলাম মিশুক, হোমনা, উপজেলা প্রতিনিধি;

দীর্ঘ ১১ বছর পর হোমনায় চাঞ্চল্যকর আশিক হত্যা মামলার রায় ঘোষণা,

৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ 


কুমিল্লা হোমনা উপজেলা আসাদপুর গ্রামের হারুন ভূঁইয়া ছেলে আশিকুর রহমান আশিক ৯য় শ্রেণীর হাজী সিরাজ দ্দৌলা ফারুকী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।


ঐ দিন আশিককে তার বন্ধুরা তাকে রাত দশটার সময় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আশিক নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান মেলেনি। পরে ডেকে নেওয়া তার বন্ধুদের জেরা করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং নিহত আশিকের লাস গুম করে রেখে ছিলেন।


এরপর তার লাশ হোমনা থানার পুলিশ সাহায্যে উদ্ধার করে কুমেক প্রেরণ করা হয়েছে ছিল।ঘটনাটি ঘটে ছিল আজ থেকে ১১বছর পূর্বে উক্ত তারিখে ২০/৯/২০১২ সালের।


পোস্টমর্টেম রিপোর্টে নিহত আশিককে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করার পর তার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে বিচ্ছিন্ন করে বস্তায় ভরে কচুরিপানার নীচে লুকিয়ে রেখে ছিল।

 

আজ দীর্ঘ ১১ বছর পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যার রায় ঘোষণা করা করেন কুমিল্লার আতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ ৫ এর বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। কোর্টে দু পক্ষের উকিলদের জেড়ায় সাক্ষী এবং আসামিদের বিভিন্ন জবানবন্দিতে আসামিদের এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে ৭ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অন্যদিকে বিচারক জাহাঙ্গীর আলম মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ৩০ হাজার টাকা এবং সাত বছরের দন্ড প্রাপ্ত আসামিদেরকে ২০ হাজার করে অর্থদণ্ড দিয়ে আনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উক্ত মামলার একজনকে এই হত্যা মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়। 


মৃত্যুদন্ড আসামীদের  নাম ১-সুজন মিয়া, পিতা আবু হানিফ, আসাদপুর, ২- মোঃ আল আমিন, পিতা ফজলুল বারী ননী, আসাদপুর , ৩- মোঃ সোহাগ, পিতা আবু মুসা ,আসাদপুর, ৪- মোঃ সোহেল মিয়া, পিতা হুমায়ুন কবির,আসাদপুর, ৫- মোঃ সাহিন মিয়া,পিতা স্বর্ণকার আমির হোসেন আসাদপুর ভাড়ায় থাকতেন, দেশের বাড়ী বাঞ্ছারামপুর, বি-বাড়িয়া।


৭বছর কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন ১- আকিমুল হক মধু, পিতা ফজলুল বারী ননী, আসাদপুর, ২- আব্দুর রহমান,পিতা মোঃ জলিল মিয়া,আসাদপুর, এবং একজন 

খালাশ পেয়েছেন ১- মোঃ সোহেল ,পিতা ইব্রাহিম, আসাদপুর।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের চারজনই পলাতক রয়েছেন ঘটনার পর থেকেই। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামী জেলহাজতে আটক রয়েছেন বাকি চার জন পলাতক ।

সাত বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা জেলহাজতেই আটক আছেন।


পুলিশের তদন্তে নিহত আশিকুর রহমান আশিক একই এলাকার সায়মা নামের একটি মেয়েকে ভালোবাসে অন্যদিকে সায়মাকে তার বন্ধু সোহেল ও পছন্দ করতো । এই ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে তার বন্ধুদের সাথে বাকবিতন্ডা ঘটে। পরে ঐ রাতে আশিককে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায় তর বন্ধুরা । কিন্তু সায়মা আক্তার তাদের কাউকেই ভালোবাসে নি। দূর থেকেই সায়মাকে তারা পছন্দ করতো কোন সময় তাদের ভালোবাসার কথা কেউ বলতে পারনি সায়মার কছে। অজ্ঞাত এই ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে সেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে ছিল।


মামলার বাদী নিহত আশিকের বাবা  মো. হারুন ভুইয়া রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মুঠো ফোনে জানান  উচ্চ আদালতে ও যেন এ রায় বহাল থাকে পাশা পাশি রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয় সেই আশা করছি।


কুমিল্লার আদালত পরিদশর্ক মো. মুজিবুর রহমান জানান, আসামীদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

No comments