ইউএনও'র সাক্ষর জাল করে বেতন উত্তোলন সাংবাদিককে ঘুস দেওয়ার প্রস্তাব - Sokalerkotha -->

Breaking News

ইউএনও'র সাক্ষর জাল করে বেতন উত্তোলন সাংবাদিককে ঘুস দেওয়ার প্রস্তাব


কিশোরগঞ্জ( নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গাড়াগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর সাত্তারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন,ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জাল, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । 

স্থানীয়ও শিক্ষকরা একাধিকবার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেও ব্যাবস্থা নেয়নি কতৃপক্ষ । 

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সেচ্ছাচারিতা, অনিয়মিত ও দূর্নীতির প্রতিবাদ করলে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়। ২০১২ সাল থেকে অভিভাবকদের ভোট ছাড়াই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানিজিং কমিটি করা হয়েছে। নিয়মিত কমিটি না থাকায় অতিরিক্ত বেতন ফি আদায় করেন। 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অভিভাবক জানায়,আমার ছেলের অতিরিক্ত ফি নিয়েছিল আমি টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য গেলে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।   

আব্দুস সাত্তার বলেন, পুরাতন কাসুন্দি ঘেটে আর লাভ কি? আমি আপনাকে চা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেছি। আমি সব তথ্য অফিসকে জানিয়েছি অফিস আমাকে মাফ করে দিয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ও বিল উত্তোলন প্রসঙ্গে বলেন, স্বাক্ষর জাল করেছিলাম সত্যি কেন করেছিলাম জানিনা, এ বিষয়ে আমি স্বীকারোক্তি মূলক লিখিত জবাব দিয়েছি এসিল্যান্ড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। এই কাজ তখন আমি কেন করেছিলাম নিজেও জানিনা।


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটি এম নুূরুল আমীন শাহ জানান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসিল্যান্ডকে আহবায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করেছেন। 


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরই আলম সিদ্দিকী জানায়, এ বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।  

প্রসঙ্গত, প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সাত্তার ফৌজদারি মামলায় ২০২২ সালের ১১অক্টোবর থেকে ২৪অক্টোবর কারাগারে থাকাকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাক্ষর জাল করে বেতন ও অন্যান্য সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। যাহার মামলা নং - ১১/৯৮ ।

No comments