শিক্ষক মো: নুরুল ইসলাম বিএসসি’র উপর হামলাকারী দুর্বৃত্তদের একজনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে
তৌফিক সুলতান, গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত বারিষাব ইউনিয়নে নোরার পোল পাড় এলাকায় রাতের অন্ধকারে বারিষাব এলাকার চরদুর্লভ খাঁন আব্দুল হাই সরকার স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মো: নুরুল ইসলাম বিএসসি’র উপর নৃশৃংসভাবে বর্বরোচিত দুর্বৃত্তদের হামলায় হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে গুরুতর আহত শিক্ষক মো: নুরুল ইসলাম (৫০) উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের চরদুর্লভ খাঁন আব্দুল হাই সরকার স্কুল এন্ড কলেজের জৈষ্ঠ্য শিক্ষক ও একাধারে তিনি গণিতের বিএসসি।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকালে চরদুর্লভ খাঁন আব্দুল হাই সরকার স্কুল এন্ড কলেজের সামনের সড়কে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এদিকে মানববন্ধনে শিক্ষক নুরুল ইসলামের উপর হামলাকারী দুর্বৃত্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোঃ শাহজাহান শেখ, মনোয়ার হোসেন আকন্দ, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ কফিল উদ্দিনসহ প্রমুখ।
বক্তব্যে তারা বলেন, যদি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হয় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হয় তাহলে আমরা লাগাতার কর্মসূচি দিব।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টায় দিকে বারিষাব বেলতলী বাজার থেকে নিজের হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসী বন্ধ করে বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে ভিকারটেক এলাকার নুরারপুল পাড়ের পূর্ব পাশে ডুবারটেক নামক জায়গায় শিক্ষক মো: নুরুল ইসলাম এ হামলার শিকার হন।
আহত স্কুল শিক্ষক মো: নুরুল ইসলামের মেয়ে সায়মা সরকার (১৯) জানান,
তার বাবা বারিষাব লালে সরকার বাড়ি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন। মসজিদের সামনের মাঠ দিয়ে ইটের সোলিং করা সড়ক নির্মাণ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে স্থানীয় দুটি পক্ষের বিবাদ চলছে। মসজিদের জমি ভোগ দখল করে আছে এনিয়ে বিবাদের শুরু হয়। সম্প্রতি একটি পক্ষ মোটা টাকা খরচ করে সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে আনে সেখানে। তাদের উপস্থিতিতে ওই সড়ক নির্মাণ করা হয়। পরদিনই মসজিদ কমিটির সভাপতি নূরুল ইসলামের (নুরু) নেতৃত্বে এলাকার কয়েকশ লোক ওই সড়ক ভেঙে দেন। এর পর থেকে দুটি পক্ষ মারমুখী অবস্থায় রয়েছে। আহত স্কুল শিক্ষক মো: নুরুল ইসলামের স্ত্রী রৌজিয়া সুলতানা এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবীর জানান, আহত শিক্ষক নুরুল ইসলামের স্ত্রী রৌজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর হামলার এ ঘটনায় বিল্লাল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যেই আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আগামী রবিবার তার রিমান্ড শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে আহত শিক্ষকের ছোট ভাই আহসান উল্লাহ সরকার জানান, কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রিলিজ দেয়ার পরই অমার বড় ভাইকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
No comments