মহানবী (সা.) এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার আহ্বান, কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ - Sokalerkotha -->

Breaking News

মহানবী (সা.) এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার আহ্বান, কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ

তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা প্রতিনিধি: গত মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরবেলা কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের ৭নং হল রুমে জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (সা.) এর তাৎপর্য আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট মোঃ মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আবু তাহের এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সৈয়দ আব্দুল্লাহ (পিন্টু), কুমিল্লা জেলা পিপি ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোহাম্মদ ইসমাইল ও জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচনা করেন কুমিল্লা চকবাজার ইসলামিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা'র সহকারী অধ্যাপক এবং কুমিল্লা কান্দিরপাড় জামে মসজিদ ও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ এর প্রধান ইমাম ও খতিব আলহাজ্ব হাফেজ মুফতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্বাদেরী। এসময় মঞ্চে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোঃ ইমাম হাসান, বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোঃ মাজহারুল হক, বিজ্ঞ সিনিয়র বুড়িচং সহকারী জজ আদালতের বিচারক তৌফিকুল ইসলাম ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত পাঠ করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট মোঃ জহিরুল হক। সবশেষে অনুষ্ঠানে আগত সকলের মাঝে তাবারক বিতরণ করা হয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ প্রায় তিন শতাধিক বিজ্ঞ আইনজীবী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির রিক্রিয়েশন, কালচারাল এন্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি এডভোকেট কাজী আবদুল কাইয়ুম মিন্টু। 

আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ সালের এইদিনে (১২ রবিউল আউয়াল) মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর শুভ আবির্ভাব ঘটে। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত।  ৫৭০ সালে আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলোকিত করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। মহানবীর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল।  ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানান অপকর্মে লিপ্ত ছিলো। আরবের সর্বত্র  দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকূলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতালা রাসুলুল্লাহ (সা.) কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন। মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সপ তিনি নব্যুয়ত লাভ বা মহান রাব্বুর আলামিনের নৈকট্য লাভ করেন।

পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, "মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এদিনের গুরুত্ব ও 

তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদ-ই মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।  এদিকে, প্রধান অতিথি মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন- মহানবী (সা.) এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। 


No comments