সকালেরকথা ডেস্ক: নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্র মো. মামুন হোসেনকে (২২) বিয়ে করা সেই শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । এ ঘটনায় তার স্বামী মামুনকে আটক করেছে পুলিশ। 

রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর জেলার বলারিপাড়া এলাকার ভাড়াবাসায় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং  খুবজীপুর উপজেলার এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

আটক মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

ভবনের বাসিন্দা ও এলাকাবাসীরা জানায়, রোববার ভোরে স্বামী মামুন  অন্য বাসিন্দাদের জানায় তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। তারা মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। 

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত করবে। তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে হত্যা আর আত্মহত্যা যাই হোক না কেন এমনটা ঘটলো কেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।

প্রসঙ্গত, এক বছর আগে ৬ মাস ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন । ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়েই গোপনে বিয়ে করেন তারা দুজন । বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। এর আগে ওই শিক্ষিকা বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশি দিন টেকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে এক সন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছে।