বিশ্বনবী সাঃ এর দৈহিক সৌন্দর্য

বিশ্ব নবীর সৌন্দর্য


বিশ্বনবী সাঃ এর দৈহিক সৌন্দর্য ছিল সারা জাহানের মানব মন্ডলীর মধ্যে এক ও অদ্বিতীয়। তার চেহারার মতো সৌন্দর্যমন্ডিত চেহারা মহান আল্লাহ তায়ালা আগে এবং পরে কখনো সৃষ্টি করেননি। বিশ্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কে সে সময়ের আরবের নেতৃত্বস্থানীয় লোক থেকে শুরু করে বেদুইন লোকেরাও দেখে তাকিয়ে থাকতো সময়ের পর সময়।


★ হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর চেহারা সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন এভাবে যে, রাসূল (স) মধ্যমাকৃতি ছিলেন। বেশি লম্বা কিংবা বেশি খাটো ছিলো না। তার দেহ ছিল খুবই আকর্ষণীয়। আর তার চুল বেশি কোকড়ানো কিংবা একেবারে সোজাও ছিল না। তিনি ছিলেন গৌরবর্ণের। পথ চলতে তিনি সামনের দিকে কিছুটা ঝুঁকে চলতেন।



★ হযরত আলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সৌন্দর্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, রাসুল সাঃ বেশি দীর্ঘ কিংবা বেশি খাটো ছিল না। তার হস্তুদ্বয় ও পথদ্বয়ের তালু এবং আঙ্গুলসমূহ ছিল মাংসল। তার মাথা ছিল কিছুটা বড় এবং হাত-পায়ের জোড়া গুলো ছিল মোটা। বুক হতে নাভি পর্যন্ত পশমের একটি সরল রেখা প্রলম্বিত ছিল। যখন পথ চলতেন মনে হতো যেন কোন উঁচু স্থান হতে নিচে অবতরণ করছেন। আলী (রাঃ) আরও বলেন, তার পূর্বে কিংবা পরে আমি তার মতো ( অনুপম আকর্ষণীয়) আর কাউকে দেখিনি।

★ হযরত জাবের ইবনে সামুরা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (সাঃ) এর মুখ প্রশস্ত ছিল। চোখের শুভ্রতার মাঝে কিছুটা লালিমা (ডাগর চক্ষু বিশিষ্ট) ছিল। পায়ের গোড়ালি স্বল্প মাংস ছিল।




★ হযরত বারা ইবনে আযেব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে জিজ্ঞাসা করা হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর চেহারা কি তরবারির ন্যায় ছিল? তিনি বলেন,না; বরং তা ছিল চাঁদের মত।

সূত্রঃ (শামায়েলে তিরমিজি)


★ হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাযি. বলতেন, নবী করিম ﷺ-এর পবিত্র চোখে এতটাই লাজুকতা বিরাজ করত, যা আরবের সম্ভ্রান্ত পরিবারের পর্দানশীন কুমারীর চোখেও দেখা যেত না।

তিনি আরও বলতেন, জুলাইখার বান্ধবীরা যদি নবী করিম ﷺ-এর রূপ-লাবন্য দেখত তাহলে তাদের হাতের আঙ্গুল নয় বরং হৃদয়ই কেটে ফেলত।



এস এম রবিউল ইসলাম
অধ্যয়নরত ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
টংগী সরকারি কলেজ, গাজীপুর।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url