অবশেষে শেষ হাসি হাসতে পারল মেধাবী শিক্ষার্থী মিঠু
আবু মাসুম, তাড়াশ প্রতিনিধিঃ
২০২২ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পরীক্ষায় তাড়াশ উপজেলায় অনেকেরই ভালো রেজাল্ট হয়েছিল উক্ত পরিক্ষায় সর্বোচ্ছ জিপিএ ৫.০০ এবং পাশের হারে এগিয়ে ছিল তাড়াশ পৌর সদরের সুনাম ধন্য একটি প্রতিষ্ঠান ছিল তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। সেখান থেকে পরিক্ষা দিয়ে ছিল মিঠু সরকার নামের একজন শিক্ষার্থী তিনি ছিলেন যথেষ্ট মেধাবী একজন ছাত্র। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল ঘোষণার পরে তার এবং তার পরিবারের মধ্যে ছিল শোক দিবস পালন করার মত একটি দিন। স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিখাদের মধ্যে তেমন আনন্দ বিরাজ করতে পারেনি কারন তাদের স্কুলের মেধাবী একজন শিক্ষার্থীর ছিল কোপাল পোড়া তার মধ্যে বিরাজ করলো হতাশার ছাপ। কারণ তার রেজাল্টে ছিল ৬ সাবজেক্ট ফেল। তখন অনেকেই অনেক জন তাকে বিভিন্ন ভাবে খারাপ ভাষায় এবং খারাপ মন্তব্য করতেন। যে তিনি খারাপ ঠিকমত পড়াশোনা না করলে তো এমনই হবে। সারা বছর কিছু না পড়লে পরিক্ষার হলে গিয়ে কি লিখবে। তখন তারা বাবা তাড়াশ ইসলামিয়া মডেল পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মামুনুর রশীদের পরামর্শে তাড়াশ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের গেটের সামনের ইকরা কম্পিউটার এ গিয়ে বোর্ড চ্যালেন্জ করেন। তখন বোর্ড চ্যালেন্জের সময় ও অনেক জন তাকে এবং তার বাবাকে টাকা খরচ করতে নিশেদ করেন। কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থী মিঠুর মন ছিল শক্ত তিনি বলেন আমি যথেষ্ট ভালো ভাবে পরিক্ষা দিয়েছি আমার নিজের ওপর নিজের ভরসা আছে।আমার হয়ত রোল রেজিষ্ট্রেশন অথবা বিষয় কোড নাম্বার ভুল গেছে। এখন সব কিছু উপর আল্লাহর ওপর। ওপর আল্লাহ তায়ালা যদি আমায় ভালোবাসেন তাহলে হয়ত আমার ভালো কিছু হবে।
আজ ২৫-১২-২২ইং তারিখ আজকে ছিল বোর্ড চ্যালেন্জের রেজাল্টের তারিখ আজকে সকাল বেলা তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক আহমেদ তাকে ফোন দিয়ে অবগতি করেন যে আজকে কিন্তু বেলা ১২ টার দিকে রেজাল্ট বের হবে। তাকে রেজাল্ট দেখার জন্য বলেন। এবং তিনি তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনের ইকরা কম্পিউটার থেকে রেজাল্ট বের করেন এবং তিনি জিপিএ ৫.০০ পায় এবং তিনি আলহামদুলিল্লাহ বলেন। তিনি বলেন মহান আল্লাহ তায়ালা যা কিছু করেন সব কিছু ভালোর জন্যই করেন এবং তিনি বলেন শেষ ভালো জার সব ভালো তার।
No comments