নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি; সাধারণ মানুষ দিশেহারা - Sokalerkotha -->

Breaking News

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি; সাধারণ মানুষ দিশেহারা

তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা প্রতিনিধি: নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর বাজারে প্রতিনিয়ত মূল্যবৃদ্ধি ঘটেই চলেছে। এ যেন নিত্যনৈমিতিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ জনগণ নির্দিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রেণীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এদিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোন দৃষ্টি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীদের দূরত্ব বেড়েই চলেছে প্রতিনিয়ত। আলু মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় সাধারণ একটি সবজি। বাজার অস্থিতিশীল করতে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী হঠাৎ আলুর দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভোক্তা পর্যায়ে সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করেন ৩৫-৩৬টাকা। তবে সরকারের বেধে দেওয়া দামের তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশী দামে বিক্রি করতে দোকানিরা ব্যবহার করছে নানান কৌশল।

এদিকে, ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরবেলা কুমিল্লার দেবীদ্বার সদরের পৌর নিউমার্কেট এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায় ব্যাবসায়ীরা একই বস্তার আলু দুই ভাগে ভাগ করে নিচ্ছেন। বড় সাইজের আলু প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং ছোট সাইজের আলু বিক্রি করছে ৪৫ টাকা দরে। অথচ সরকারের নির্ধারিত দাম ৩৫-৩৬ টাকা দরে বিক্রি করছে না কেউই। তাছাড়া অন্যান্য সবজির মধ্যে বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, ছড়া ৭০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, সিম ১৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আলু ব্যবসায়ী জানান- সরকার থেকে আলুর যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সেই দামে ব্যাবসায়ীরা পাইকার থেকে ক্রয় করতে হয়। যে কারনে খুচরা বাজারগুলোতে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মোঃ সোহাগ নামে এক আলু ব্যাবসায়ী বলেন, ৪২ টাকা দরে প্রতি কেজি আলু কিনে ৪০ টাকায় কিভাবে বিক্রি করবো?

অপরদিকে, নিউমার্কেট বাজারে আলু ক্রেতা মো. জাকির হোসেন বলেন- সরকার নির্ধারিত আলু প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা। তারা নাহয় ৪০ টাকা রাখতে পারতো, তা না করে ৫০ টাকায় বিক্রি করছে। বাধ্য হয়েই ১০০ টাকায় ২কেজি আলু কিনলাম। মোসাঃ সেলিনা আক্তার নামে বাজার করতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, শুধু আলু নয়, ডিম, মাছ, মাংস, পেয়াজসহ সকল ধরনের সবজির দাম উর্ধ্বমুখী। ভোক্তা অধিকার আইন আছে কিন্তু তা বাস্তবায়নে সরকারের নেই কোনো বাজার মনিটরিং কার্যক্রম। স্বল্প আয়ে ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে এখন সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রায়হানুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার আইনে বাড়তি দামে আলু বিক্রি ও ক্রয় করা রশিদ দেখাতে না পারায় দুই আলু ব্যাবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার ১ দিন পার হতেই বাজার আবার সেই আগের রুপে ফিরে যায়।

দেবীদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রায়হানুল ইসলাম বুধবার বিকেলে জানান- আলু, ডিম ও পেয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সরকারের নির্ধারিত দামের বাইরে যারা বেশী দামে বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে ভ্রাম্যমান আদালত চলমান রয়েছে।

No comments