-->

Breaking News

দেবীদ্বারে লাগামহীন লোডশেডিং ও বাড়তি বিলের বোঝায় অতিষ্ঠ জনজীবন

তাপস চন্দ্র সরকার কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার দেবীদ্বারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে পল্লীবিদ্যুৎ। লাগামহীন লোডশেডিং ও বাড়তি বিলের বোঝায় অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে জনজীবন।

বুধবার ( ৬ সেপ্টেম্বর) দেবীদ্বারের স্থানীয় লোকজন ও ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলার আশেপাশের উপজেলা গুলোতে যখন নামমাত্র লোডশেডিং হচ্ছে সেখানে দেবীদ্বার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৫-১৬ ঘন্টা থাকতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিহীন। সেইসাথে লোডশেডিংয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুৎ বিল। জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসের বিল বেড়ে দাড়িয়েছে কয়েক গুণ। এ নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত বিলের বোঝা থেকে রক্ষা পেতে গ্রাহকরা কুমিল্লা-১ দেবীদ্বার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান পায়নি। বিদ্যুৎ সংযোগ টিকিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হয়েছে বলে জানিয়েন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাবসা বানিজ্যে ভাটা পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা।

তারা আরো জানায়- দিন নেই রাত নেই প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ বিহীন থেকে পরিবারের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে না। এখন বিদ্যুৎ যায় না মাঝে মধ্যে আসে। বর্তমান ডিজিএম আসার পর থেকেই অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ'র এমন বাড়তি ভুতুরে বিল দেখা গেছে, যা আগে কখনো এমনটা দেখিনি। বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা লুটপাটে পকেট ভারি করতেই গ্রাহকদের ভুতুড়ে বিল প্রদানের মাধ্যমে হয়রানি ও জনগণের পকেট কাটার ব্যবস্থা করেছে।

পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক, উপজেলার সাইলচর গ্রামের মোঃ আলমগীর সরকার বলেন- গত দু'মাস ধরে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং থাকার পরও বিদ্যুৎ ব্যবহার বেশি দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে কয়েক গুন বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ। জুন মাসে বিল ৮শ টাকা, জুলাই মাসে ১ হাজার ৯শত ৯৩টাকা কিভাবে এতো বাড়তি বিল আসে জানতে চেয়ে ডিজিএম সাহেবের কাছে গেলে তিনি বলেন, আপনি বেশি বিদ্যুৎ ব্যাবহার করেছেন, বিল তো পরিশোধ করতেই হবে৷ তাই বাধ্য হয়েই বিল পরিশোধ করতে হয়েছে। এ অফিসের আওতায় চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রায় ৫০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ-১ দেবীদ্বার জোনাল অফিসের (ডিজিএম) রেজাউল করিম বলেন- বিদ্যুৎ বেশি ব্যাবহার করলে বিলতো বেশি আসবেই। ইউনিটের মূল্য হিসেবেই বিদ্যুৎ বিল করা হয়। বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ চাহিদা ২২ মেগাওয়াট আমরা কখনো ১০,১২,১৫ মেগাওয়াট পাচ্ছি। যখন যেমন বিদ্যুৎ পাচ্ছি তখন তেমন সাপ্লাই দিচ্ছি। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সাপ্লাই কম থাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

No comments