প্রেমিকের সাথে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় পরিবারের উপরে অভিমানে কিশোরীর আত্মহত্যা
মো: সাহেব আলী, শাহজাদপুর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: গুচ্ছ গ্রামের একসাথে বসবাসের সুবাদে কিশোর সিরাজুল (১৪) ও কিশোরী তিন্নী খাতুনের (১৪) মাঝে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিকের সাথে পরিবার বিয়েতে রাজি না হওয়ায় কিশোরী তিন্নী খাতুনের অভিমানে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়নের বাঘাবাড়ি দক্ষিণ পাড়ের গুচ্ছ গ্রামে। কিশোরী তিন্নী ওই গুচ্ছ গ্রামের ১৫ নাম্বার ঘরের বাসিন্দা দিনমজুর মধু শিকদারের মেয়ে এবং প্রেমিক সিরাজুল একই গুচ্ছ গ্রামের ২৫ নাম্বার ঘরের বাসিন্দা ট্রাকচালক বকুল মোল্লা ওরফে কালার ছেলে।
জানা যায়, বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাঘাবাড়ি গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা মধু শিকদারের কিশোরী মেয়ে তিন্নি খাতুন ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তিন্নির মা ঘরে ঢুকে তিন্নির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তিন্নির ঝুলন্ত দেহ নামায়। পরে তাকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিন্নির পরিবার ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায় একই গুচ্ছ গ্রামের কালার ছেলে সিরাজুলের সাথে তার দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি তিন্নির পরিবার মেনে না নেওয়ায় এবং বিষয়টি নিয়ে তিন্নিকে তার বাবা মা গালমন্দ করায় সে আত্মহত্যা করে।
খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক শারফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিন্নির মা হেনা খাতুন বলেন, দুপুরে তিন্নিকে নিয়ে নদীতে গোসল করে বাড়ীতে ফিরে মেয়েকে ভাত খেতে বললে সে জানায় পরে খাবে। কিছুক্ষণ বাড়ির পেছনে কাজ সেরে ঘরে ঢুকে দেখতে পাই তিন্নির দেহ আড়ার সাথে ঝুলছে। এসময় তিনি সেরাজুলের সাথে তিন্নির প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে নিশ্চিত করেন। এই বিষয়ে সিরাজুলের মা মিরা খাতুন জানান, আমার ছেলে সিরাজুলের সাথে তিন্নির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিন্নির বাবা মা আমার ছেলের সাথে বিয়েতে রাজি ছিল না।
No comments