তাড়াশে ভূমিহীন ১৫ পরিবার দিশেহারা, উচ্ছেদ শঙ্কায় কাটে রাত


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: 

"একবার উঠায়া দিছিলো,এবার আবার উঠায়া দিব কইয়া গেছে, যামু কই ,আমাদের তো জায়গাও নাই ,ঘর দিলেও উঠায়া দেয়" এভাবেই বলেন তাড়াশের চান আলী ।


জসীমউদ্দীনের সেই "আসমানী" কবিতা হয়ত সবারই মনে আছে, মনে আছে সেই আসমানিদের কথা। কিন্তু আমাদের আশেপাশে অনেক পরিবার আছে যারা নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করে। নেই থাকার ঘর, নেই একটুকরো জমিও।



এমনই একটি পরিবারের কথা জানা যায় । সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানার ওয়াপদাবাধে বাস করে চান আলী।  স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সংসার। ছেলের বয়স ৭ বছর ও মেয়ের বয়স দুই বছর। পরিবার গুলোর দিকে তাকানোর হয়তো সময় কারো হয় না। অন্যের জালে মাছ ধরে বিক্রি করে যা ভাগ পায় তাই দিয়ে চান আলীর চলে সংসার। 


ছোট্ট একটি ঘর, জোড়া তালি দিয়ে আলো বাতাস বৃষ্টি খুব সহজে যাতায়াত করে। নেই তার নিজের নামে কোন জমি তাই বাধ্য হয়েই মাথা গোঁজার ঠাঁই নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জমিতে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম বন্ধ ছিল অনেক বছর ধরেই। এর মধ্যে একবার নোটিশ দিয়ে জোড়াতালি দেয়া সেই ঘর ভেঙে দেয়া হয়। তখন আশ্রয় নেয় অন্যের বাড়িতে। আবারো মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় জোড়াতালি দিয়ে ঘর তুলে চান আলী।  রোদ, বৃষ্টি, উপেক্ষা করেই করছিল বসবাস। 


কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আবারো ভাঙতে হবে ঘর নোটিশ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ছোট্ট সেই ঘরে দুজনের বেশি থাকার জায়গা নেই তার মধ্যে দুই সন্তানসহ চারজন বসবাস করে। ঘর বলতে কিছু নেই শুধু রাতে কোনমতে ঘুমানো যায়। ছোট্ট সংসার আর ছোট্ট স্বপ্ন বাঁচাতে দ্বারস্থ হয় স্থানীয় এমপি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ।

কিন্তু সান্ত্বনা ছাড়া কিছুই পায়নি পরিবারগুলো ।


ভেবেছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার একটি ঘর হয়তো তার ভাগ্যে জুটবে কিন্তু তাও জোটেনি।  ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও পায় না কোনো সহায়তা এমনটাই জানিয়েছেন চান আলী ও ভূমিহীন অনেক পরিবার ।  এমন অবস্থায় তাদের পরিবার কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট চান আলী  সহযোগিতা চেয়েছেন।   


অন্যদিকে, গৃহহীন ও ভাসমান মানুষ যাদের ঘর নেই, তাদের  তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url