বাঞ্ছারামপুরে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক - Sokalerkotha -->

Breaking News

বাঞ্ছারামপুরে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

বাঞ্ছারামপুর (প্রতিনিধি):

বি-বাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর  উপজেলা ৫১ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ৩/৪ জন রোগীর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার অভিযোগ উঠেছে কর্তব্যরত নার্সদের বিরুদ্ধে। স্যালাইন পুশ করার পর রোগীদের শরীরে খিঁচুনিসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়। গতকাল সোমবার রাতে রোগীদের অবস্থা অবনতি হতে থাকায় তাদেরকে যে কোন সময়ে ঢাকা সদর হাসপাতালে পাঠানোর খবর পাই আরও জানতে পারি টাকার অভাবে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাঞ্ছারামপুর ৫১ শয্যা সরকারি হাসপাতালের

রোগীরা হলেন আছাদনগর গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে শামীমা আক্তার (০৬) অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, পেট ব্যাথায় আক্রান্ত হয়ে  গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হন। আর পেট ব্যথার কারণে শামীমা ও তানজিনা একই দিন সন্ধ্যায় ভর্তি হন। প্রথম দুজনকে ৫০০ মিলি করে দুইটি এবং ১ হাজার মিলি করে মোট চারটি স্যালাইন শরীরে পুশ করা হলে দুজনেরই ডায়রিয়ার সঙ্গে বমি ও শরীরে খিঁচুনি দেখা দেয়। এ সময় আলাল স্যালাইনের প্যাকেট পরীক্ষা করে দেখেন একটি প্যাকেটে ২০১৮ সাল ও একটির প্যাকেটে ২০২১ সাল পর্যন্ত স্যালাইনের মেয়াদ লেখা রয়েছে। পাশের বেডের রোগীকে পুশ করা স্যালাইনের প্যাকেটেও একই অবস্থা দেখতে পান তিনি। বিষয়টি দায়িত্বরত চিকিৎসককে অবহিত করা হলে তারা স্বজনদের চেপে যেতে বলেন। 

এদিকে  পেঠ ব্যথা নিয়ে ভর্তি হওয়ার পরে শামীমার শরীরে স্যালাইন পুশ করার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তার পরিবারের লোকজন চিৎকার  করেন ও বলেন যদি তার কিছু হয় তাদেরকে ছার দিব না।

এ সময়ে পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডে আক্তারের নেসা, রাবেয়া, আমেনা ও শফিক ও তার সহকর্মী চার নার্সের শিফট ডিউটি চলছি।সরকারি হাসপাতালের  মেডিকেল অফিসার হিসাবে ডাক্তার মুনতাহার  ভারপ্রাপ্ত আর এমও দায়িত্ব পালন করছিলেন। হাসপাতালের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে সকালের কথা প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। এ কারণেই হয়তো এমনটা ঘটেছে।’ 

এ বিষয়ে নার্সদের ইনচার্জ আক্তারের মেসা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কয়েক দিন মাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন কীভাবে এল এটা আমি বলতে পারব না। আমার আগের ইনচার্জ থাকাকালে তিনি স্টোর কিপারের নুরুল আমিন কাছ থেকে এসব স্যালাইন বুঝে নিয়েছিল। 

নার্সের ইনচার্জ আক্তারের নেসা আরও বলেন, আমি হয়তো ভুলে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন স্টোর থেকে নিয়েছিলাম। কিন্তু আজ যারা স্যালাইন পুশ করেছে তাদের পুশ করার আগে দেখে নেওয়া উচিত ছিল। ব্রাক্ষনবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ. জানিয়েছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন রোগীর শীররে পুশ করা মোটেও কাম্য নয়। এ বিষয়ে দায়িত্ব পালনকারী নার্স, শিল্পি আক্তার,শফিক মিয়া, সজিব মিয়ার চিকিৎসক যারা ছিল তাদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দায়িত্ব অবহেলা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

No comments