-->

Breaking News

কামরাঙ্গীর চর পূর্ব রসুলপুরে ৫২ তম বিজয় দিবস উদযাপন



নিলয়ঃ
স্বাধীনতা মানে এক গৌরব, স্বাধীনতা মানে অর্জন,স্বাধীনতা মানে বীরত্ব গাঁথা এক ইতিহাস। যে ইতিহাসে লুকিয়ে আছে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্নত্যাগ এবং দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হানির মত করুণ কাহিনী। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বাঙ্গালীদের অসীম এক অর্জন মহান স্বাধীনতা।

স্বাধীনতা শব্দটি শুনলে স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে গোলাপের। এত মিষ্টি এত মধুর আর কোন শব্দ নেই বাঙ্গালী জাতির জীবনে৷ যার জন্য বাঙ্গালী আজ সারা বিশ্বের সামনে মাথা উঁচু করে চলতে পারে সে স্বাধীনতা কত কষ্ঠের তা অনুমেয়।

১৯৭১ সালের লাখ লাখ মানুষ আত্মাহুতি দিয়েছেন স্বাধীনতার বেদীমূলে! তারা তাদের বর্তমান উৎসর্গ করেছিলেন আমাদের ভবিষ্যৎ রচনা জন্য। ত্রিশ লাখ শহিদ কয়েক লাখ মা-বোন তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন এই স্বাধীনতার জন্য। মহান মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো আজ আমাদের মতো প্রবীণদের স্মৃতির জানালা খুলে দিয়েছে। পেছন ফিরে তাকালে কোটি কোটি মানুষের দুঃখ-দুর্দশার ছবি ভেসে ওঠে। আপন জন্মভূমি মৃত্যুগুহা হিসেবে দেখতে বাধ্য হওয়া অগণিত মানুষের অশ্রু আর রক্তের মর্মস্পর্শী সেই ঘটনাপ্রবাহ স্মৃতিকে আপ্লুত করে দেয়।




এ কষ্টার্জিত স্বাধীনতার পিছনে যিনি তিনি হলেন জাতির পিত শেখ মুজিবর রহমান। যিনি না থাকলে সকালের সূর্য্য দেখা হত অন্যের অধীনে, রাত্রে ঘুমাতে হত পাকিস্তানিদের বর্বর শাসনের ব্যাথা নিয়ে। সে সব থেকে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। যার জন্ম না হলে হয়ত জন্ম হত না এ বাংলাদেশের। আজ যে বাংলাদেশ নামক ভূ-খন্ডকে আমরা মায়ের মত লালন করি সেটি আমাদের এনে দিয়েছেন শেখ মুজিবর রহমান।

সারাদেশে বিজয়ের এ মাস চেয়েগেছে শীতের উষ্ণতাকে। অলিতে, গলিতে, রাস্তায়, পাড়া মহল্লায় বেজে উঠেছে বিজয়ের ধ্বনি। সে ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার ৫১ তম বিজয়ের আনন্দ উল্লাস ছড়িয়ে পড়েছে কামরাঙ্গীর চর পূর্ব রসুলপুরের ৮ নং রোডেও।

৫৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন কে প্রধান অতিথি করে আয়োজন করা হয় বিজয়ের দিবসের মঞ্চ।পূর্ব রসুলপুরের আওয়ামীলীগ কর্মী সমর্থকরা কঠোর পরিশ্রম করে আয়োজন করেন এ অনুষ্ঠানটি। পূর্ব রসুলপুরের আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ সিরাজ তালুকদারের নেতৃত্বে পুরো অনষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। যাদের তত্ত্বাবধানে সফল হয় অনুষ্ঠানটি তারা হলেন ৫৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কর্মী মোহাম্মদ ইমন, একরাম, এবং শুভ তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন এলাকার আপামর জনতা।

বিজয়ের দিবসের প্রথম প্রহরেই কেক কেটে অনুষ্ঠানটি সূচনা করেন প্রধান অতিথি ৫৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার মোহাম্মদ হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ হোসেন প্রথমেই জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বক্তব্য শুরু করেন। শুরুতেই তিনি বলেন, বাঙ্গালী জাতির জন্য এটি একটি বিশেষ দিন ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার গৌরব আমরা উপভোগ করছি। এ বিজয় আমাদের জাতির জন্য এক মাইল ফলক। এটি আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান না থাকলে আমাদের এ স্বাধীনতা আসতো না। যার অবদান বাঙালী জাতি শোধ করতে পারবে না। বাঙ্গালী জাতিকে যিনি স্বাধীনতার আনন্দ দিয়েছেন তিনি জাতির পিতা শেখ মুজিবর রহমান। জাতির পিতার অবদান আমরা কখনোই ভুলতে পারবোনা। মোহাম্মদ হোসেন তার বক্তব্যে আহবান জানান তরুণ প্রজম্মকে, তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির পিতা সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস জেনে সেটির কার্যক্রম বাস্তবায়নের।

সবশেষে তিনি অনুষ্ঠানটির আয়োজক কমিটিকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যের পরে প্রায় ঘন্টা খানেক সব বয়সী মানুষজন মিলে উদযাপন করেন বাংলাদেশের ৫২ তম বিজয় দিবস।

No comments