এই ওয়েবসাইটটি বিক্রয় করা হবে। ফুল সেটআপ সহ নিতে বা বিস্তারিত জানতে কল করুন : ০১৭২৬৭৮২৫১২ 🚀 কুমিল্লায় প্রবাসী শহীদু উল্যাকে হত্যা দায়ে স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও কন্যার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড - Sokalerkotha

Breaking News

কুমিল্লায় প্রবাসী শহীদু উল্যাকে হত্যা দায়ে স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও কন্যার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার চান্দিনায় প্রবাসী শহীদ উল্যাকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ চারজনকে মৃত্যু দণ্ড ও কন্যাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। বুধবার (৩০ আগস্ট) কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লা চান্দিনা থানাধীন কাশারী খোলার নিহত শহীদ উল্ল্যা'র স্ত্রী আসামি হাছনেয়ারা বেগম ওরফে হাছেনা, একই গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মোঃ শাহজাহান, মৃত মধু মিয়ার ছেলে মোঃ আমির হোসেন ও মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মোঃ মোস্তফা (পলাতক) এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন নিহতের কন্যা মোছাঃ খাদিজা বেগম ওরফে খোদেজা।


মামলার বিবরণে জানাযায়- কুমিল্লা চান্দিনা থানাধীন কাশারীখোলার ছায়েদ আলীর মেঝো ছেলে ভিকটিম শহীদ উল্ল্যা ওরফে শহীদ (৪৮) দীর্ঘদিন ৮/৯ বছর যাবত বিদেশে থাকার পর বাড়ীতে আসিয়া ২০০৯ সালে ২১নভেম্বর দিবাগত-রাত ৪টার দিকে লোকজনের চিৎকার শুনিয়া ঘুম থেকে ওঠে বাদী জানতে পারে যে, শহীদ উল্যাকে পাওয়া যাইতেছেনা। এরপর অনেক খোজাখুজি করে ভোর অনুমান ৭টার দিকে গ্রামের মাঠের ধান ক্ষেতের মধ্যে শহীদ উল্যা'র লাশ দেখতে পেয়ে লাশ সনাক্ত করে এবং থানাপুলিশ সুরতহাল তৈরী করে লাশটি নিয়ে যায়। জানা যায়- ঘটনার তিনদিন আগে আসামি আমিরের সাথে আসামি ঝগড়াঝাটি হয়। এ ব্যাপারে ২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর রাতে নিহতের বড়ভাই কুমিল্লা চান্দিনা থানাধীন কাশারীখোলা গ্রামের মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে মোঃ হাবিব উল্যা ওরফে আরব আলী (৬৫) বাদী হয়ে  অজ্ঞাত আসামি করে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় বিধানমতে চান্দিনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তারেক মোঃ আঃ হান্নান আসামি স্ত্রী-কন্যাসহ অপর দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে উপস্থাপন করিলে তারা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর আসামীগণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১০ সালের ৩১ মার্চ হোছনেয়ারা বেগমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-৫১)। 


পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় বিধানমতে চার্জ গঠন করিলে রাষ্ট্রপক্ষে মানীত সাক্ষীর মধ্যে ০৮জন এবং আসামি পক্ষে একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি হাছনেয়ারা বেগম ওরফে হাছেনা, মোছাঃ খাদিজা বেগম প্রকাশ খোদেজা, মোঃ শাহজাহান, মোঃ আমির হোসেন ও মোঃ মোস্তফা (পলাতক) এর বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মধ্যে আসামি হাছনেয়ারা বেগম ওরফে হাছেনা, মোঃ শাহজাহান, মোঃ আমির হোসেন ও মোঃ মোস্তফা (পলাতক) প্রত্যেককে দণ্ড বিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মহামান্য হাইকোর্ট এর অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০,০০০/- টাকা করে অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।  এছাড়াও আসামি মোছাঃ খাদিজা বেগম ওরফে খোদেজাকে দণ্ড বিধির ৩০২/৩৪ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০,০০০/- টাকা অর্থ দণ্ড, অনাদায়ে আরও ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণাকালে আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন, হোছনেয়ারা ও খাদিজা বেগম উপস্থিত ছিলেন আর বাকী দুজন মোঃ মোস্তফা ও শাহজাহান অনুপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি  এডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন এবং এডভোকেট মোঃ মফিজুল ইসলাম।

No comments